২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেবে সরকার

গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ ভাতা দেবে সরকার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন চিকিৎসাসহ অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের সহায়তা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান উপদেষ্টা। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।

ফারুক-ই আজম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি বেশি সহানুভূতিপ্রবণ। তাদের বিষয়টি নিয়ে অতি গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে।’

তিনি বলেন, শহীদদের ব্যাপারেও সরকার দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আহতদের ব্যাপারে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তালিকা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে সেই তালিকা সম্পন্ন করতে পারবো।

এ সপ্তাহের মধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অধিদপ্তরের অধীনে একটা নীতিমালা হচ্ছে। এই নীতিমালার অধীনে সরকার আহত-নিহতদের যাবতীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

‘সরকার এ কাজগুলো অত্যন্ত সুনিবিড়ভাবে যতটা দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা করেছে।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে করি তাদের এ ত্যাগ ইতিহাসে অমোচনীয় এবং এই গৌরব জাতি সমভাবে তাদের সঙ্গে ধারণ করে। তাদের আত্মত্যাগের গৌরব আমরা অমলিন করে রাখতে চাই। এটা যেন আগামী অনাগত কালেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।’

চলতি অর্থবছর নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়া হবে এবং আহতদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহায়তা দেওয়া হবে। আহত-নিহতদের সহায়তার জন্য চলতি অর্থবছর ২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ফারুক-ই আজম।

তিনি আরও বলেন, ‘আহতদের আজীবনের জন্য চিকিৎসা এবং অন্যান্য ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন।’

blank

নিজস্ব প্রতিবেদক

https://dakgharnews.com

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *