টাকার মান কমলো ১৭ টাকা

দেশে প্রায় দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। বর্তমানে বিদেশি এই মুদ্রাটির দাম চূড়ায়। খোলা বাজারে খুচরা ডলারের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২৭ টাকায়। চলতি বছরের শুরুতে যা ছিলো ১১০ টাকা। অর্থাৎ এবছর টাকার মান কমেছে ১৭ টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অনেক ব্যাংক সময়মতো এলসি খুলতে পারছে না। এজন্য অনেক ব্যাংক বেশি দামে রেমিট্যান্স কিনছে। এর প্রভাবে খোলা বাজারের ডলারেও পড়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ হচ্ছে ১২৭ টাকা। আর বছরের শুরুতে যা ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি ডলারের বিপরীতে চলতি বছরে কমেছে ১৭ টাকা।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ডলারের দর ঠিক করার পাশাপাশি রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছর ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এতেও ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি ।
তবে এ সময় দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ডলারের দাম নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। তবে অনেক ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজ নির্ধারিত দাম ডলার কেনা-বেচা করছে না। তাই ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চেয়েছে এবিবি ও বাফেদা।
এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেছিলেন, বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এই সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমাদের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী কোন ব্যাংক চাইলে ১১৬ টাকা পর্যন্ত রেমিটেন্স কিনতে পারবে। কিন্তু ১১১ টাকার বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না।
এদিকে এই সংকটের মধ্যে ব্যাংকগুলো বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ১২২ টাকার বেশি দরে ডলার ক্রয় করে। বিষয়টি জানাজানির পর খোলাবাজারেও নগদ ডলারের দর দ্রুত বাড়ছে।