২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হলেন এমা রেনল্ডস

টিউলিপ সিদ্দিকের স্থলাভিষিক্ত হলেন এমা রেনল্ডস

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার হিসেবে এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করার পর রেনল্ডসকে এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়া হলো।

৪৭ বছর বয়সী এমা রেনল্ডস ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে ‍যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দলটি ১৪ বছরের বিরোধী অবস্থান থেকে ক্ষমতায় ফিরে আসে।

বর্তমানে তিনি দক্ষিণ ইংল্যান্ডের উইকহ্যাম আসনের প্রতিনিধি। এর আগে তিনি ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলের একটি ভিন্ন আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে টিউলিপের। এ বিষয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

এর আগে, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে লন্ডনের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ।

সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে টিউলিপকে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গেও টিউলিপের বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাছাড়া ২০০৪ সালে কোনো ধরনের অর্থ না দিয়েই তিনি লন্ডনের কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের একটি অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

তাছাড়া বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন- এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ৪০০ কোটি পাউন্ড অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

পারমাণবিক কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় নাম উঠে আসে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের মধ্যে অন্যতম।

২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনিসহ বাকি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নিজেদের স্বার্থে ওই প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরেছিলেন।

সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান

blank

নিজস্ব প্রতিবেদক

https://dakgharnews.com

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *