১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ, দিতে হবে ৫০ কোটি টাকা

৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১-১৩ বর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেওয়ার সেটাই ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা। ওই দিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজাও স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন। ওইদিন সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূস।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাদের চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পরই পৃথক জামিন আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে চারজনকেই জামিন দেন আদালত।

তার আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে রাষ্ট্রপষ্ট। তারও আগে গত বছরের ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হলে রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান। নথি অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট আইএফইডি কর্মকর্তারা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের সঙ্গে কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।

blank

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *