২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস বাংলাদেশের

দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস বাংলাদেশের

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বলা হয় হার্ডহিটারদের দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভীষণ শক্তিশালী তারা। দুইবার জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। এমন এক দলকে তাদের মাটিতেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিলো বাংলাদেশ।

কিংসটাউনে আজ (শুক্রবার) সিরিজের তৃতীয় ও টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ মিশন পূর্ণ করেছে লিটন দাসের দল। তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে ৩-০ ব্যবধানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ই ছিল না। এবার সে লক্ষ্য পূরণের পর প্রথমবার তাদের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা। তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে বিদেশের মাটিতে এটি বাংলাদেশের কোনো প্রতিপক্ষকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড। সবমিলিয়ে তৃতীয়বার (এর আগে আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডকে) টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা।

হোয়াইটওয়াশ মিশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় ক্যারিবীয়রা। ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ইনিংসের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ করেন ব্রেন্ডন কিংকে (০), পরের ওভারে জাস্টিন গ্রেভসেকে (৫ বলে ৬) তুলে নেন শেখ মেহেদি।

এরপর নিকোলাস পুরান আর জনসন চার্লস গড়েন ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ১০ বলে ১৫ করা পুরানকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন মেহেদি। পরের ওভারেই রস্টন চেজকে শূন্য রানে ফেরান হাসান মাহমুদ। একই ওভারে মিডউইকেট থেকে রিশাদ হোসেনের সরাসরি থ্রোতে রানআউটের শিকার হন চার্লস (১৮ বলে ২৩)। ১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

দায়িত্ব নিতে পারেননি অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলও। রিশাদ হোসেনের টার্নে আউটসাইড এজ হয়ে লিটন দাসের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ১২ বল খেলে করতে পারেন মাত্র ২ রান।

৬০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর স্বাগতিক দলের হাল ধরেন রোমারিও শেফার্ড। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ১৫তম ওভারে জোড়া শিকার করে রিশাদ হোসেন সে চেষ্টা শেষ করে দেন। গুদাকেশ মোতি আর আলজেরি জোসেফকে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরান এই লেগি।

সঙ্গী হারিয়ে শেফার্ড বুঝতে পারেন আর লড়াই করা সম্ভব না। পরের ওভারে তিনিও ক্যাচ তুলে দেন। তানজিম হাসান সাকিব পান উইকেট। ২৭ বলে ১ চার আর ৩ ছক্কায় শেফার্ডের ৩৩ রানই হয়ে থাকে ক্যারিবীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ। ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩টি, তাসকিন আহমেদ ৩০ আর শেখ মেহেদি ১৩ রানে নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে জাকের আলীর ৬ ছক্কার ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

কিংসটাউনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। সৌম্য সরকারের বদলে ওপেন করতে নেমে ঝোড়ো সূচনা করেন পারভেজ হোসেন ইমন। ২১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৯ আসে তার ব্যাট থেকে।

লিটন অবশ্য ১৩ বলে ১৪ করেই আউট হয়ে যান। তানজিদ তামিম করেন ৯ বলে ৯। মাঝে ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর জাকেরের ওয়ান ম্যান শো।

৪১ বলে ৩ চার আর ৬ ছক্কার মারে ৭২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে ১৮৯ পর্যন্ত পৌঁছে দেন জাকের। একটি করে চার-ছক্কায় ১২ বলে ১৭ করেন তানজিম হাসান সাকিব।

blank

নিজস্ব প্রতিবেদক

https://dakgharnews.com

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *