‘সব নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থামেনি। বিএনপির জনসমর্থন দেখেও অনেকের হিংসা হচ্ছে, তারাও বসে নেই। কাজেই বিএনপির সব নেতাকর্মীকে সব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে বিএনপির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পৌঁছে দিতে হবে। দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষ যখন তাকিয়ে থাকে তখন দায়িত্ব এসে পড়ে যায়, কোটি কোটি মানুষের দায়িত্ব এক বিশাল দায়িত্ব। বিএনপির প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী মহানগরীর বাসন থানার টেকনগপাড়ায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির প্রত্যেককে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করা একজন রাজনৈতিক কর্মীর সবচেয়ে বড় সফলতা, সবচেয়ে বড় অর্জন। এ আস্থা ধরে রাখাও একজন কর্মীর দায়িত্ব।
তিনি দলীয় নেতকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। আমরা জাল ভোট দিয়ে, কারচুপি করে, নিশিরাতের ভোটে, জোর করে ক্ষমতায় যেতে চাই না। মানুষ মুক্তভাবে ভোট দেবে এমন একটি মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিতে হবে। তবেই জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে বিএনপিকে বিবেচনা করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে তাদের শক্ত হাতে রুখতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় যেতে হবে। বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের যে প্রস্তাবনা করেছে তা বাস্তবায়ন করতে অবশ্যই জনগণের সহযোগিতা লাগবে। যেকোনো মূল্যে জনগণের সমর্থন ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে। আসন্ন চ্যালেঞ্জিং নির্বাচনে সফল হতে হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।