ভাঙ্গুড়ায় ইউপি কার্যালয় থেকে সনদ নিতে ভোগান্তির শেষ নেই

জনগণ স্থানীয় সরকারের যত সেবা পেয়ে থাকে, তার শুরু হয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে। ফলে সেখানে সেবা নিতে মানুষ বেশি ভিড় করে। বিশেষ করে জন্ম ও মৃত্যুসনদের জন্য।
এই সনদগুলো নাগরিকের রাষ্ট্রীয় যেকোনো জরুরি কাজে লাগে। কিন্তু দেখা যায়, এসব সনদ পেতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। জন্মনিবন্ধন করতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ শোনা যায়।
গ্রামের সহজ–সরল ও নিরক্ষর মানুষ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গেলে সেবা তো দূরের কথা, কোনো তথ্য পেতেও কত যে ভোগান্তি হয়, তা সেখানে না গেলে বোঝা যাবে না। বিশেষত এখন ডিজিটাল নিবন্ধন হওয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি দুটিই বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য জন্মনিবন্ধন খুবই প্রয়োজন। আবার দেখা যায়, সেখানে বিভিন্ন ভুল তথ্য রয়েছে। যাঁদের জন্ম ২০০১ সালের পরে, তাদের বাবা–মায়ের জন্মনিবন্ধন করাতে হয় আগে। তাই গ্রাহকদের পোহাতে হয় হয়রানি ও দুর্নীতির ধকল।
তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের। যেখানে ৫০ বা ১০০ টাকায় সংশোধন করা সম্ভব, সেখানে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিতে হয়। গ্রাহকও বাধ্য হন টাকা দিতে। কেননা, জন্মনিবন্ধনে ভুল থাকলে বিশেষ কাজ আটকে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যাঁরা অস্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন, তাঁরা সনদ নিতে গেলে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার পাঁয়তারা করা হয়।
ডিজিটাল হওয়ায় সুযোগ বেড়েছে বটে, তবে দুর্নীতিও বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর লাগে। চূড়ান্ত সনদে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর লাগে। এ ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগ না থাকলেও কার্যালয়ে সময়মতো তাঁদের না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাস্থলে ১১টায় গেলে দেখা যায় অফিস তালা বদ্ধ।
জনগণ ভোট দিয়ে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধি বানিয়েছেন। কিন্তু কাজের সময় তাঁদের খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।