ভাঙ্গুড়ায় তীব্র শীতে বাক্স থেকে বের হচ্ছে না মৌমাছি, মধু উৎপাদন বন্ধ

মোঃ মেহেদী হাসান, পাবনা: পাবনা ভাঙ্গুড়া উপজেলায় জেঁকে বসেছে কনকনে ঠান্ডা। হিমেল বাতাস ও তীব্র শীতে মৌ-বাক্স থেকে বের হচ্ছে না মৌমাছি। ফলে মধু উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়েছে।
খামারিরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রতিটি খামারে গড়ে ১৫ থেকে ২০ মণ মধু পাওয়া যেত। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মৌমাছির সংগ্রহের মধু মৌমাছির খাওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষবাতান গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠেজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে মৌ খামার। তীব্র শীতের হাত থেকে মৌবাক্স ও মৌমাছি রক্ষায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পলিথিন ও চটের কাপড়। এতে বাক্সের ভেতরে বাতাস ঢুকতে না পারলেও মধু সংগ্রহে বের হচ্ছে না মৌমাছি।
খানমরিচ ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের মৌ খামারি রমজান, গোলাম ও শফিক বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে মৌ-বাক্স থেকে বের হবেনা মৌমাছি, মধু উৎপাদন করা যাবে না। ঠান্ডায় মৌমাছি না খেতে পেয়ে দুর্বল হয়ে যাবে, বেশি দিন থাকলে মারাও যেতে পারে। মৌমাছি সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখতে মৌ বাক্সের মধু মৌমাছির খাবার হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। গত এক মাসে দুইবার মধু উৎপাদন করেছি। দেড়শ’ মৌ বাক্স থেকে প্রথমবার ১০ মণ ও দ্বিতীয়বার ১৯ মণ মধু পাওয়া গেছে। শীতের তীব্রতা না বাড়লে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ২০ মণের বেশি মধু উৎপাদন করা যেত।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে মধু উৎপাদন শুরু করেছেন ভ্রাম্যমাণ মৌ খামারিরা। চলবে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত। এবার মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১২ টন। গত বুধবার পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১১ টন। এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৩১২ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন জাহান বলেন, উপজেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে সরিষার আবাদ। মৌ খামারিদের মধু উৎপাদনও বাড়ছে। তবে সরিষার আবাদ ও মধু উৎপাদনের লাভ-লোকসান নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর।