২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীতের ভরা মৌসুমেও গাছে গাছে আসতে শুরু করেছে কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জরী

শীতের ভরা মৌসুমেও গাছে গাছে আসতে শুরু করেছে কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জরী

মোঃ মেহেদী হাসান ভাঙ্গুড়া, পাবনা: একটি ফলের প্রাথমিক রূপ তৈরী হয় পুষ্পমঞ্জরীতে। বিভিন্ন ফলের আগাম হাতছানী দেয় এই পুষ্পমঞ্জরী। একযোগে এর দেখা না মিললেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জাত ভেদে গাছে গাছে আসতে শুরু করেছে কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জরী। এটি শুধু ফলের আগমনী বার্তাই নয় বরং ঋতু বদলের বার্তা বহন করে।

চলছে শীত কাল। চারিদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমহিম অনুভুতিতে নাকাল জনজীবন। শীতের তিব্রতার মাঝে কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জুরীতে যেন রূপ নিয়েছে গ্রীষ্মের পরশ।

অনেকে মনে করেন জাত ভেদে কাঁঠালের আগাম পুষ্পমঞ্জরী আসতে পারে। তাও স্থানীয় এলাকা গুলোতে খুব একটা দেখা মেলে না। তবে এলাকায় যেসব অনেক পুরনো দিনের গাছ রয়েছে সেসব গাছে অনেকটা দেখা মেলে।

অনেকে বলেন বর্তমান যুগে নানা প্রক্রিয়ায় উদ্ভবকৃত গাছ রয়েছে। কোনোটা বারোমাসি আবার কোনোটা আগাম জাত, কোনোটা আঠা বিহীন কাঁঠাল। এসব নানা জাতের ভীরে তিব্র শীতের মাঝে কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জরী আসাটা অস্বাভাবিক কিছু না।

কাঁঠালের পুষ্পমঞ্জুরী বায়ু পরাগী হয়। পুষ্পমঞ্জুরীতেই ছত্রাকসহ নানা রোগ আক্রান্ত করে থাকে। তাই কৃত্রিম পরাগায়নের মাধ্যমে পরাগায়ন নিশ্চিত করতে পারলে রোগাক্রান্ত যেমন কম হয় তেমনি ফল ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। ভিন্ন গাছের সজীব পরাগরেণুর মাধ্যমে কৃত্রিম পরাগায়ন করলে পুষ্ট কোষের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি কাঁঠালের আকারও বড় হয় এবং পুষ্টতা পায়।

blank

নিজস্ব প্রতিবেদক

https://dakgharnews.com

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *