সোনা চোরাচালানের অভিযোগে বিমান জব্দ

চট্টগ্রামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং উড়োজাহাজ জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই উড়োজাহাজ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘বোয়িং ৭৭৭-ইআর’ মডেলের উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়। উড়োজাহাজটি দুবাই ফেরত বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ‘বিজি-১৪৮’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিমানের ওই ফ্লাইট থেকে সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত নারী আতিয়া সামিয়াকে পরে নগরীর পতেঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিমান জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কাস্টমস গোয়েন্দার অধীনে আগেও একবার বিমান জব্দের ঘটনা ঘটে। তা হয়েছিল ঢাকায়। বিমান জব্দের ঘটনা চট্টগ্রামে এটাই প্রথম।’
তিনি বলেন, ‘বিমান জব্দের ঘটনা অন্য ফৌজদারি মামলার আলামতের মতো ফিজিক্যালি জব্দ করা হয় না। ফিজিক্যালি বিমান তাদের শিডিউল অনুসারে চলাচল করবে। তবে দালিলিকভাবে কাস্টমস আইন অনুসারে বিমানটি আটক করা হয়েছে।’
এ কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিমানের সিটের নিচে বিশেষ কৌশলে সোনার বার লুকিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এতে বহনকারী যাত্রী বাদেও বিমানের কেউ জড়িত থাকতে পারে। তদন্তের সুবিধার্থে উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।’
গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দার পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়, আটক নারী অনলাইনে সোনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন। তার ভিজিটিং কার্ডেও এমন তথ্য পাওয়া গেছে। উদ্ধার ২০টি সোনার বার ২৪ ক্যারেটের এবং এসব বারের ওজন ২ দশমিক ৩২ কেজি। আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এর আগে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে চালানো যৌথ অভিযানে এসব সোনার বার উদ্ধার করা হয়। অভিযানে বিমানের ‘৯-জে’ সিটের নিচে প্লাস্টিক টেপ মোড়ানো অবস্থায় ২৪ ক্যারেটের ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের ‘বিজি১৪৮’ ফ্লাইটটি ঢাকা-চট্টগ্রাম-দুবাই এবং দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে চলাচল করে। বৃহস্পতিবার ফ্লাইটটি সকাল ৯টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও ১২ মিনিট বিলম্বে ৯টা ১২ মিনিটে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি শিডিউল অনুযায়ী সকাল ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের কথা থাকলে ৫২ মিনিট বিলম্বে ১০টা ৫২ মিনিটে শাহ আমানত ছেড়ে যায়।