২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগপত্র করলেন তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

পদত্যাগপত্র করলেন তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় গতবারের মতো এবারও মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৭ জন। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। তিনজনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা হবে ৪৩ জন। এরমধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।

পদত্যাগের বিষয়ে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘এবারও গতবারের মতো হবে।’ তিনি এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি।

অন্যদিকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘গতবার আমরা যা করেছি, এবারও সেটাই হবে। বাকিটা আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।’

সংসদ সদস্য নন প্রধানমন্ত্রীর এমন উপদেষ্টারাও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওই বছরের ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। সেই হিসাবে গত ১ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।

 

blank

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *