১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

সকল বাধা উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের পর প্রতিটি নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।কারণ জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ।

জিয়াউর রহমানের অবৈধ নির্বাচন নিয়ে যারা কোনো দিন কথা বলেনি, আজ যখন সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে তখন তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসছে বলে বাংলাদেশে যে অগ্রযাত্রা এই অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমাদের পার্লামেন্টারি কমিটি আমাকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। আমি সংসদ সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জানায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেরই অনেক রকম স্বপ্ন আছে, অনেকেই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিলো ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে না আসে সেটা ঠেকাতে চেয়েছিলো তারপরেও ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে সাধারণ নির্বাচনে। এটা সোজা কথা না, খুবই বড় কথা। এই কারণেই এককভাবে আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সমমনা দল যখন নির্বাচন করেছে আরেকটি দল তখন নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে কেউ বলতে পারবে না যে রাতে ভোট দিয়েছে, দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, ভোট কারচুপি হয়েছে, তা বলার ক্ষমতা নেই। কারণ অত্যন্ত স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এইবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটা আপনারা দেখেছেন। নির্বাচন কমিশনকে আমরা নির্বাচন পরিচালনা করতে দিয়েছি। কোন রকম হস্তক্ষেপ আমরা করিনি, সহযোগিতা করেছি।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, প্রশাসন থেকে শুরু করে সব কিছুই নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত। যেনো নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়। আমরা কখনো হস্তক্ষেপ করিনি। সে সঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনীসহ যারা নির্বাচন কমিশনকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করেছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে।

blank

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *