৩০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

জয়পুরহাটে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা শহরের জিরো পয়েন্টে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাবেক সভাপতি দেওয়ান জহুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি দেওয়ান বদিউজ্জামান বদি, জয়পুরহাট আল-বারাকা হার্ট সেন্টার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম, পদ্মা ক্লিনিকের ম্যানেজার তানভির হোসেন, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এবং লেদ ওয়েল্ডিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর শহীদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গতকাল আমাদের জোরপূর্বক প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সংযোগের পর ৬ হাজার টাকা রিচার্জ করা হলেও, ব্যালেন্সে ৪ হাজার ৭০০ টাকা দেখানো হয়। কিছু চার্জ কেটে নেওয়ার কারণে এই পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া মিটারের ব্যালেন্স শেষ হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, যা আমাদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।

বক্তারা আরও জানান, জয়পুরহাট জেলার বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। তাদের পক্ষে প্রিপেইড মিটারে নিয়মিত টাকা রিচার্জ করা অত্যন্ত কঠিন হবে। বিশেষত, কখন ব্যালেন্স শেষ হয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাবে, তা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা রয়েছে। বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জয়পুরহাটের মতো দরিদ্র এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ করা হোক।

জয়পুরহাট নেসকো লিমিটেডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আদনান সাকিব জানান, নেসকোর অধীনে এ জেলায় ৩৩ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত থ্রি-ফেজ গ্রাহকদের মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫১ জন গ্রাহকের মিটার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। প্রিপেইড মিটারে গ্রাহকরা যতটুকু বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন, সেই মোতাবেক বিল তাদের ব্যালেন্স থেকে কাটা হবে। এতে বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ এবং অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, সরকারের উচিত প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা এবং গ্রাহকদের স্বার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

blank

নিজস্ব প্রতিবেদক

https://dakgharnews.com

Related post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *